বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম (জন্ম নিবন্ধন ও বাটন মোবাইল)
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম: বর্তমান সময়ে ডিজিটাল লেনদেন এর প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বিকাশ ।আরো অনেক মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম রয়েছে কিন্তু সবগুলোর ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং অনেক জনপ্রিয় তাই অনেকে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চান আবার কেউ কেউ বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চাই তাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি কিভাবে বাটন মোবাইল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
বিকাশ কি ?
একটা সময় মানুষ যদি তার প্রিয়জনের কাছে টাকা পাঠাতে সে টাকা কারো মাধ্যমে পাঠাতে হতো কারণ তখন বর্তমান সময়ের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ছিলনা তাই কারো হাতে টাকা পাঠাতে হতো দেশ হতে দেশান্তরে। সেই টাকা হাতে পৌঁছাতে সময় লেগেছে তো কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত।
কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে এখন মানুষ তার প্রিয়জনের কাছে টাকা পাঠাতে পারে কয়েক সেকেন্ডে যেটা মানুষ একসময় কল্পনাও করতে পারেনি এত কম সময়ে প্রিয়জনের কাছে টাকা পাঠানো যাবে।
বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করে মানুষ খুব সহজে তার প্রিয়জনের কাছে টাকা পাঠাতে পারে সে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে মধ্যে অন্যতম মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ।
বিকাশ এর নিজস্ব সফটওয়্যার রয়েছে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি আরো অনেক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আপনি আপনার যেকোন মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে পারবেন।আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করে থাকেন সেই কেনাকাটার পেমেন্ট আপনি বিকাশ এপস এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।
বিকাশের মাধ্যমে আপনি আরও অনেক উপভোগ করতে পারবেন যে সার্ভিস গুলো আপনি বিকাশ একাউন্ট খোলার পর ব্যবহার করতে পারবেন এখন আর সে সার্ভিস গুলো সম্পর্কে না বলে সরাসরি চলে যাই বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে।
বিকাশের সুবিধা কি
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টাকা পাঠানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা যদি সেই টাকা কোন ব্যক্তি কিংবা ব্যাংক এর মাধ্যমে পাঠাতে যায় তাহলে একটু সময় সাপেক্ষ কিন্তু আমরা যদি মুহূর্তে সে টাকাগুলো পাঠাতে চায় তাহলে আমাদেরকে সাহায্য করবে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। চলুন জেনে নেয়া যাক বিকাশের সুবিধাসমূহ।
- বিকাশের কল্যাণে আমরা দেশ থেকে বিদেশে খুব সহজে স্বল্প সময়ের মধ্যে টাকা পাঠাতে পারি।
- বিকাশের কল্যাণে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কেনাকাটার বিল সহ বিদ্যুৎ বিল ইন্টারনেট বিল খাবারে গ্যাস বিল সহ যাবতীয় অনেকদিন বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্যে পরিশোধ করতে পারি।
- বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজে আমরা অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে পারি বিকাশ পেমেন্ট ব্যবহার করে।
- এছাড়াও আমাদের ব্যাংকে যদি টাকা থাকে সে টাকা আমরা মুহূর্তের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে তুলতে পারি।
- অনেক সময় বিকাশ এর মাধ্যমে আমরা লোন সংগ্রহ করতে পারি।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ তাদের গ্রাহকদের যে পরিমাণ সেবা প্রদান করে থাকে তা অন্য কোন মোবাইল ব্যাংকিং করে না তাই বিকাশের দিন দিন গ্রাহক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিকাশ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি অনেক রকম সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
বিকাশের মাধ্যমে আপনি মোবাইল রিচার্জ, ইন্টারনেট রিচার্জ, টিকিট কাটা, বিল পরিশোধ করা, অনলাইন শপিংয়ের প্রেমেন্ট পরিশোধ করা ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা আপনি বিকাশ একাউন্ট এর মাধ্যমে পেতে পারেন।
কিন্তু অনেকে জানেনা বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি বিকাশ একাউন্ট দুই নিয়মে খুলতে পারবেন:
- বিকাশ সফটওয়্যার ব্যবহার করে
- এজেন্টের মাধ্যমে
উপরের এই দুইটি উপায় অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন চলুন জেনে নেয়া যাক এই দুটো বিকাশ একাউন্ট খুলতে হলে কি কি প্রয়োজন এবং কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলুন সে সম্পর্কে।
এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট
আপনি খুব সহজে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন তার জন্য আপনি আমাদের দেখানো নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- প্রথমে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটিতে থাকা গুগল প্লে স্টোর ওপেন করুন তারপর গুগল প্লে স্টোরে সার্চ করুন বিকাশ তারপর আপনি বিকাশ অ্যাপস ডাউনলোড করুন। আপনাদের সুবিধার জন্য আমি বিকাশ অ্যাপস ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি আপনারা সেখান থেকে খুব সহজে ডাউনলোড করে নেন।
- তারপর বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড হওয়ার পর ওপেন করুন ওপেন করার পর একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিন অর্থাৎ আপনি যে মোবাইল নম্বরটি দিয়ে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন পুরুষের মোবাইল নম্বরটি দিয়ে বিকাশ একাউন্ট ওপেন করুন।
- তারপর আপনার অপারেটর অপশন বেছে নিয়ে ল্যাংগুয়েজ অপশন ক্লিক করতে হবে।
- তারপর সব নিয়ম নীতি অনুসরণ করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডের দুটি পেজের ছবি তুলতে হবে।
- বিকাশ থেকে সব তথ্য পূরণ হবে। পরবর্তীতে আপনাকে আরো কিছু তথ্য দিতে হবে। যেমন লিঙ্গ, পেশা, আয়ের উৎস।
- তারপর পরিপূর্ণ আলোর মধ্যে আপনার একটি ছবি তুলতে হবে।
- এরপর বিকাশ থেকে একটি কনফার্মেশন এসএমএস আসবে।
- সব শেষে বিকাশের কোড *247# ডায়াল করে বিকাশের ৫ ডিজিটের একটি পিন নম্বর সেট করে নিলেই আপনার একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যদি স্মার্টফোন এর মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলে এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট এর কাছে যেতে হবে এজেন্টের কাছে যাওয়ার সামনে আপনি নিচের কাগজপত্রগুলো সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
- এজেন্টের কাছে যাওয়ার সময় অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের নেওয়ার সাথে আপনি দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে যাবেন।
- সকল তথ্যাবলী এজেন্ট পূরণ করার পর আপনার মোবাইলে একটি নিশ্চিতকরণ এসএমএস আসবে।
- আপনাকে বিকাশ কোডের মাধ্যমে একটি পিন নম্বর সেট করতে হবে।
উক্ত ধাপসমূহ যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশের উন্নত সেবা প্রদান করার জন্য দিনদিন বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যত ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পাচ্ছে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
কারণ বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট ব্যতীত অন্য কোন অ্যাকাউন্ট অতিরিক্ত টাকা লেনদেন করতে পারেন শুধুমাত্র বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট বেশি পরিমাণ টাকা লেনদেন করতে পারে।
বিকাশের জনপ্রিয়তা দেখে অনেকে চাই বিকাশের ব্যবসা করার জন্য কিন্তু আপনি যদি বিকাশের একটি ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট থাকা অবশ্যক।
কিন্তু অনেকে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি কিভাবে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট তৈরি করবেন । চলুন জেনে নেয়া যাক বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়মসমূহ:
- জাতীয় পরিচয়পত্র/লাইসেন্স।
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- সচল মোবাইল নাম্বার।
- ট্রেড লাইসেন্স।
- আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম।
উপরের সকল তথ্য কাগজপত্র পূরণ করে বিকাশ এজেন্ট বরাবর জমা দিতে হবে জমা দেওয়ার পর আপনার কাগজপত্র যদি স্ট্রোক হয় তখন আপনাকে একটা মেসেজ প্রদান করা হবে যে মেসেজ পাওয়ার পর আপনি বিকাশ পিন সেট করার মাধ্যমে এজেন্ট একাউন্ট চালু করে নিতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্টে টাকা দেখার নিয়ম
আমাদের বিকাশ একাউন্ট খোলার পর আমাদের বিকাশ একাউন্টে টাকা দেখার প্রয়োজন পড়ে আমাদের অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে সেটা আমাদের দেখার প্রয়োজন পড়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বিকাশ একাউন্ট এর টাকা দেখবেন।
আপনি যদি একজন স্মার্টফোন ইউজার হন তাহলে আপনি খুব সহজে বিকাশ এপস এর মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট দেখতে পারবেন।
আপনি প্রথমে আপনার মোবাইলে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করবেন ডাউনলোড করার পর আপনার বিকাশ মোবাইল নম্বর ও বিকাশ পিন নাম্বার দিয়ে অ্যাপস লগইন করবেন।
লগইন করার পর বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন এর উপরের ব্যালেন্স দেখার একটা বক্স রয়েছে সেই বক্সে ক্লিক করলে আপনি খুব সহজে বিকাশ একাউন্টে টাকা দেখতে পারবেন।
যারা বাটন মোবাইলের সাহায্যে বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স দেখতে চান তারা খুব সহজেই কিছু কোড ডায়াল এর মাধ্যমে বিকাশ একাউন্টে টাকা দেখতে পারবেন।
আপানার মোবাইল দিকে *247# ক্লিক করে 8 নম্বর অপশনে বিকাশে গিয়ে চেক ব্যালান্সে আপনার একাউন্টে টাকা দেখতে পাবেন।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
আমাদের অনেক সময়ই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজন পড়ে কখনো মোবাইল হারিয়ে গেলে কখনো সিম হারিয়ে গেলে। ইত্যাদি কারণে আমাদের বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজন পড়ে কিন্তু আমরা অনেকেই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম জানিনা কিন্তু
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম যতটা সহজ ঠিক বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম ততটাই কঠিন।আমরা চাইলেই খুব সহজে স্মার্টফোন কিংবা নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের দোকানে গিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারি।
কিন্তু আমরা চাইলে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে পারিনা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে গেলে আমাদের অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে।
- কাজটির জন্য আপনাকে বিকাশের অফিসে যেতে হবে।
- বিকাশের নির্দিষ্টি অফিসে গিয়ে আপনাকে যে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে একাউন্ট খুলেছেন সেই কার্ডটি সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
- যদি আপনি অন্য কারো নাম একাউন্ট করা থাকে তাকে সাথে করে নিয়ে জিতে হবে।
- তারপর সমস্ত নিয়মাবলী পূরণ করে ডিলিটকৃত একাউন্টের ব্যালেন্স জিরো করে ডিলেট করতে হবে একাউন্ট।
একটি আইডিকার্ড দিয়ে কয়টি একাউন্ট খোলা যায়
আমাদের অনেক সময়ে একাধিক বিকাশ একাউন্ট খোলার প্রয়োজন পড়ে সেটা বিভিন্ন কাজে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে।
কিন্তু কিন্তু আমাদের যেহেতু প্রত্যেকের একটি জাতীয় পরিচয় পত্র বা আইডি কাটিয়েছে সে তো আমরা একটি আইডি কার্ড দিয়ে একের অধিক বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে পারবোনা।
কারন একটি আইডি কার্ড দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায় আপনি যদি একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট তৈরী করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার আগের বিকাশ একাউন্ট ব্লক বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই আপনি যদি একাধিক বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনার আত্মীয়-স্বজন কিংবা পরিবারের কারও জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ তৈরি করতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম।
আমাদের অনেকের বিকাশ একাউন্ট খোলার প্রয়োজন পড়ে কিন্তু আমাদের অনেকের কাছে জাতীয় পরিচয় পত্র থাকেনা।
কিন্তু আপনি চাইলে আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে পারেন তবে বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে তৈরি করতে পারবেন না কারণ এখনও পর্যন্ত বিকাশ অ্যাপস জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট তৈরী করার কোন সিস্টেম রাখেনি।
তাই আপনি যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড এবং দুই কপি ছবি সঙ্গে নিয়ে বিকাশ এজেন্টের কাছে যেতে হবে তারাই আপনাকে সাহায্য করবে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে।
বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন
বিকাশ একাউন্ট খোলার একমাত্র উপায় যেহেতু জাতীয় পরিচয় পত্র তথা ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে তাই আমাদের অনেকসময় নিজস্ব কোন জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকার কারণে আমরা আমাদের পরিবার কিংবা পরিচিত কারো জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলে থাকি।
কিন্তু যখন আমাদের বিকাশ একাউন্টে কোন সমস্যা হয় তখন আমাদের যার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা হয়েছিল সেই ব্যক্তি ছাড়া বিকাশ একাউন্ট এর সমস্যা সমাধান করা যায় না তাই সবসময় যার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে আমরা বিকাশ একাউন্ট তৈরি করেছে তাকে সব সময় পাওয়া যায় না।
বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার এটা একটা কারণ আরও বিভিন্ন কারণে আমাদের বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করা হতে পারে তাই আপনি কিছু উপায় অবলম্বন করে খুব সহজে আপনার বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করে নিতে পারবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশ একাউন্ট মালিকানা পরিবর্তন করতে হলে কি কি প্রয়োজন।
- আপনি যে একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করতে চান সেই একাউন্ট সচল হতে হবে।
- একাউন্টে আপনার কত টাকা বিদ্যমান রয়েছে তা জানাতে হবে।
- যে নম্বরে একাউন্ট রয়েছে সেই নাম্বার সচল থাকতে হবে।
- যার নাম একাউন্ট রয়েছে তার একটি ছবি লাগবে সাথে আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- যার নাম একাউন্ট পরিবর্তন করে নিতে চান তার এক কপি রঙিন ছবি।
আপনি যদি আপনার বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করতে চান তাহলে উপরের স্টেপগুলো ফলো করে খুব সহজে আপনি বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন
আমরা অনেক সময়ই যেই নম্বর দিয়ে বিকাশ একাউন্ট তৈরী করে থাকি সেই নম্বর পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনি যদি আপনার বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করতে চান তাহলে আমাদের দেখানো নিচের স্টেপগুলো ফলো করে সে অনুযায়ী আপনি কাজ করলে খুব সহজে আপনার বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবেন।
- বিকাশের হেল্পলাইনে কল দিতে হবে।
- বিকাশ হেল্পলাইনে নিয়োজিত ব্যক্তি আপনার একাউন্টের এর সত্যতা যাচাই করার জন্য আপনার একাউন্টের নাম ও একাউন্ট নাম্বার জিজ্ঞেস করবে।
- তারা তথ্য যাচাই করার পর আপনার সমস্যার কথা জানতে চাইবে।
- পরবর্তীতে তাদের নিৰ্দেশনা অনুযায়ী একাউন্ট পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আমরা অনেকে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাই কিন্তু বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম না জানার কারণে খুব সহজে আমরা বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারিনি। অনেকে বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই।
আসলে বাটন মোবাইল দিয়ে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না আপনার কাছে যদি একটি বাটন মোবাইল থাকে এবং আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনি ইউটিউব এ বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন সে দুটি উপায় গুলি সম্পর্কে আমরা উপর আলোচনা করেছি আপনি সেখান থেকে দেখে নিন কিভাবে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করবেন।
আমাদের শেষ কথা
আমি আজকে আপনাদের সাথে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কিভাবে আপনি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনাদের যদি বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আমরা সেখানে আপনার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।