ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - পাসপোর্ট হয়েছে কিনা দেখুন
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে।বর্তমানে ই-পাসপোর্ট ব্যাপক জনপ্রিয়।
বর্তমানে এমন কোনো মানুষ নেই যাদের কাছে একটি পাসপোর্ট নেই কারণ আমরা অনেকে ঘুরতে ভালোবাসি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে অনেককে ভালোবাসে তার জন্য তাদের কাছে পাসপোর্ট রয়েছে।
আবার অনেকের কাছে বিভিন্ন ব্যবসার কাজে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট রয়েছে অথবা আমরা অনেকে রয়েছে দেশ থেকে বিদেশে গিয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম করে থাকে অর্থাৎ প্রবাসী তাদের কাছে পাসপোর্ট রয়েছে। তাই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট এর বিকল্প নেই।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা পাসপোর্ট কিভাবে করতে হয় পাসপোর্ট করার জন্য কি কি লাগে বর্তমানে যেহেতু ই-পাসপোর্ট করার সিস্টেম রয়েছে তাই আমরা আজকে জানবো কিভাবে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২১ | E Passport In Bangladesh
আপনারা যারা এখনো পর্যন্ত পাসপোর্ট করেননি তারা যদি ই-পাসপোর্ট করেন সেক্ষেত্রে আপনি পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তারপর পাসপোর্ট করার জন্য প্রস্তুতি নিবেন তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
তাই আমরা যারা জানিনা কিভাবে পাসপোর্ট করতে হয় উপার্জন করার নিয়ম সম্পর্কে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। যারা পাসপোর্ট করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা আজকে পুরো আর্টিকেলটি ফুল্ল খুব সহজে বিস্তারিত জেনে যাবেন চলুন শুরু করা যাক পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
ই পাসপোর্ট কি?
ই-পাসপোর্ট হলো একটি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট যেখানে একটি পাসপোর্ট এর মধ্যে একটি সিপ লাগানো থাকবে যার মাধ্যমে খুব সহজে পাসপোর্ট নামধারীর সকল তথ্য খুঁজে বের করা সম্ভব। একসময় দেখা যেত একটি পাসপোর্টে অনেকগুলো পাতা থাকে এতে করে অনেক সময় অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সারাবিশ্বে পাসপোর্টে বিশৃঙ্খলায় দূর করতে ই-পাসপোর্ট চালু করে।
ই পাসপোর্ট এর মধ্যে পাসপোর্ট মালিকের দশটি আঙ্গুলের ছাপ থাকবে এবং তার চোখের স্ক্যান করা হবে। তার সাথে ই-পাসপোর্ট এর মধ্যে থাকবে তিন রকমের ছবি যার ফলে। যার ফলে পরিচয় কোন ব্যাঘাত ঘটে না।
ই-পাসপোর্ট আবেদন ফি
- আপনি যদি ৫ বছরের ৪৮ পৃষ্ঠার ই পাসপোর্ট করতে চান তাহলে আপনাকে সাধারণ ফি সাড়ে তিন হাজার টাকা গুনতে হবে। (১৫ দিন)
- আপনি যদি জরুরি ভিত্তিতে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। গুনতে হবে (৭ দিন)
- আর আপনার যদি অতিরিক্ত জরুরি ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজন পড়ে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে গুনতে হবে সাড়ে সাত হাজার টাকা (২ দিন)
- ১০ বছরের জন্য আপনাকে ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর জন্য সাধারণ ফি পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। (১৫ দিন)
- আর আপনার যদি অতি জরুরিতে ই পাসপোর্ট এর দরকার পড়ে তাহলে ই-পাসপোর্টের ফি হবে নয় হাজার টাকা।(২ দিন)
- ৫ বছরের ৬৪ পৃষ্ঠার ই পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। (১৫ দিন)
- জরুরি ই-পাসপোর্টের জন্য আপনাকে গুনতে হবে সাড়ে সাত হাজার টাকা। (৭ দিন)
- অতি জরুরিতে আপনার যদি ই পাসপোর্ট এর প্রযোজন পড়ে তখন আপনার ফি হবে সাড়ে ১০ হাজার টাকা।(২ দিন)
- ১০ বছরের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা। ( ১৫ দিন)
- ই-পাসপোর্ট জরুরি ভাবে আপনি যদি তৈড়ি করতে চান তাহলে আপনাকে ফি দিতে হবে নয় হাজার টাকা ।(৭ দিন)
- অতি জরুরি ই-পাসপোর্ট আপনার প্রয়োজন হলে আপনাকে গুনতে হবে ১২ হাজার টাকা। (২দিন)
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২১
আপনাকে প্রথমেই পাসপোর্ট করার আগে ই পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করতে হবে আবেদন করার জন্য নিচের তিনটি অবশ্যই করতে হবে।
- ই পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম।
- জন্ম নিবন্ধন পত্র।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)।
আপনি প্রথমেই ই পাসপোর্ট ফরম ডাউনলোড করে নিবেন। তারপর সেই ফরমটিতে আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ব্যবহার করে সে অনুযায়ী আপনি ফরমটি পূরণ করবেন। আপনি যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ আপনার বয়স যদি 18 বছরের নিচে হয় সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার বাবা এবং মায়ের ভোটার আইডি কার্ড এর নম্বর প্রদান করবেন।
আগের মতো এখন আর ই পাসপোর্ট করার জন্য টাকা ব্যাংকে গিয়ে প্রদান করতে হয় না এখন আর সেই ঝামেলা নেই বর্তমান ডিজিটের সময় আপনি আপনার মোবাইলের মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট করতে পারবেন বিকাশ, নগদ, এজাতীয় মোবাইল ব্যাংকিং গুলো থেকে খুব সহজে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন।
অফলাইনে পাসপোর্ট ফরম পুরন | E Passport Application Form
আপনি যদি অফলাইন মাধ্যমে পাসপোর্ট অথবা ই-পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে সে ক্ষেত্রে অবশ্য আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে কারণ পাসপোর্ট অফিসে যখন আপনি যাবেন সেখানে আপনার মত শত শত মানুষ রয়েছে তাই আপনাকে লাইনে দাঁড়িয়ে ফরম সংগ্রহ করতে হবে তারপর আপনি যে ফরমটি পূরণ করে জমা দিতে হবে এক্ষেত্রে অবশ্যই একটু কষ্ট দায়ক।
তাই আপনি যদি অনলাইন নিবন্ধন এর পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার নিকটস্থ ইন্টারনেট সেবাদানকারী বিভিন্ন দোকানে যেয়ে আপনার পাসপোর্ট ফরম পূরণ করে নিতে পারেন। তার আপনার থেকে সামান্য কিছু পেমেন্ট নিয়ে থাকবে।
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম - পাসপোর্ট হয়েছে কিনা
আমরা যখন পাসপোর্ট অথবা ই পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করে থাকি। তখন আমাদেরকে কিছুদিন পর অবশ্যই আমাদের পাসপোর্ট হয়েছে কিনা তা চেক করার প্রয়োজন পড়ে।
আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট হয়েছে কিনা সেটা চেক করতে চান তার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পাসপোর্ট চেকিং করার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে সেখানে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড তার সাথে একটি ক্যাপচা পূরণ করার অপশন থাকবে সেগুলো দেওয়ার পর আপনি দেখতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট হয়েছে কিনা অথবা প্রসেসিং এ আছে কিনা সবকিছু আপনি সেখানে দেখতে পাবেন।
আমাদের শেষ কথা
FAQ - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর
আমার বাচ্চার বয়স দুই বছর তার কি ই-পাসপোর্ট করানো যাবে?
উত্তর: জি অবশ্যই। আপনার বাচ্চার ই-পাসপোর্ট করানো যাবে কারণ দুই বছর পর থেকেই বাচ্চাদের ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট এর প্রয়োজন পড়ে।
ই-পাসপোর্ট আর সাধারণ পাসপোর্ট এর মধ্যে কোনটি বেশি ভালো?
উওর: আমরা যেহেতু দিন দিন আধুনিক হচ্ছি তাই আমাদের ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করাই উচিত কারণ এটি এম্বাসিতে আপনার প্রসেসিং স্পিড ফাস্ট করে দেবে। আগের যুগের সাধারণ পাসপোর্ট এর একগুচ্ছ কাগজ চেকিং করতে যতটা সময় প্রয়োজন তার অর্ধেকেরও কম সময়ে ই পাসপোর্ট চেক করে দেওয়া যায়।
পাসপোর্ট সাধারণ কয় বছর মেয়াদী হয়ে থাকে?
উওর: পাসপোর্ট সাধারণ পাঁচ বছর এবং 10 বছর মেয়াদী হয়ে থাকে আপনি আপনার সুযোগ সুবিধা মত পাসপোর্ট এর মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।.