ডায়াবেটিস কমানোর উপায় - লক্ষণ এবং খাদ্য তালিকা
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়: আজ আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের কি কি খাবার খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে আজকে পুরো আর্টিকেলটিতে। আমরা মানবদেহে সাধারণত যে রোগ গুলো কথা জানি তার মধ্যে অন্যতম মারাত্মক একটি রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিস রোগেযারা আক্রান্ত হয় তারা কিন্তু ভালো মানুষদের মত চলাফেরা খাওয়া-দাওয়া করে তাই দেখে বুঝার কোন উপায় নেই তাদের ডায়াবেটিস রয়েছে কিন্তু একমাত্র সেই জানে যার ডায়াবেটিস আছে ডায়াবেটিস মানুষকে কতটা কষ্ট দেয় ডায়াবেটিস মানুষের খাওয়া দাওয়া কেড়ে নেয়।
- ডায়াবেটিস কি? | What is diabetes?
- ডায়াবেটিস কত প্রকার?
- ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান
- ডায়াবেটিস টাইপ 2
- ডায়াবেটিস লক্ষণ
- ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল?
- ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
- ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার
- ডায়াবেটিস রোগীর দুপুরের খাবার
- ডায়াবেটিস রোগীর বিকেলের নাস্তা
- ডায়াবেটিস রোগীর রাতের খাবার
যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারা চাইলেই যে কোন খাবার খেতে পারে না। তারা তাদের দৈনিক খাবার গুলোতে একটা লিস্ট করতে হয় তারা ডায়াবেটিস রোগীরা দুপুরে একটা খাবার খেতে হয় বিকেল একটা খাবার খেতে হয় ভালো ভালো অনেক খাবার ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারে না তাই ডায়াবেটিস ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাই।
তাই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এবং ডায়াবেটিস রোগীর দুপুর রাতে কি কি খাবার খেতে হবে কিভাবে ডায়াবেটিসনিয়ন্ত্রণে আনা যায় চলুন শুরু করা যাক ডায়াবেটিস কমানোর উপায়।
ডায়াবেটিস কি? | What is diabetes?
ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানার আগে আমাদেরকে জানতে হবে ডায়াবেটিস কি What is diabetes? এবং ডায়াবেটিস কি কারণে হয়ে থাকে। আমরা যদি না জানি ডায়াবেটিস কি কি কারণে হয়ে থাকে অথবা আমাদের ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি তাহলে আমরা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারব না কারণ আগে আমাদেরকে ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
তারপর ডায়াবেটিস কি কি কারণে হয়ে থাকে সেগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। ডায়াবেটিস রোগ এমন একটা রোগ জেরক আমাদের শরীরের রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করবেন। আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে খাবারগুলো খায় সে খাবার গুলোর মাধ্যমে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক থাকে সে খাবার গুলোর মাধ্যমে আবার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়।
আমরা অনেক সময় দেখতে পাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে অথবা যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারা অনেকে ইনসুলিন ব্যবহার করে থাকে। ইনসুলিন খাওয়ার পরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। ইনসুলিনমূলত একটি হরমোন আমাদের শরীরের কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাক্ট এর বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়াবেটিস কত প্রকার?
আমরা যারা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাই তারা আমাদেরকে জানতে হবে আমাদের ডায়াবেটিসের কোন প্রকার আমাদের শরীরে রয়েছে ডায়াবেটিস দুই ধরনের হয়ে থাকে যথা
- ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান
- এবং ডায়াবেটিস টাইপ 2
ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান
আমরা অনেকে মনে করি ডায়াবেটিস শুধুমাত্র যারা বয়স্ক লোক রয়েছে তাদের হয় এই কথাটা সম্পূর্ণ ভুল যাদের বয়স কম তাদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান হয়ে থাকে। যাদের বয়স 20 বছরের কম তাদের এই ধরনের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে সাধারণত এদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না।
ডায়াবেটিস টাইপ 2
ডায়াবেটিস টাইপ 2 এটি বেশিরভাগ মানুষের হয়ে থাকে কম বয়সী থেকে শুরু করে বেশি বয়সী ছেলেমেয়েদের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে ডায়াবেটিস টাইপ 2 শরীরে ইনসুলিন তৈরি করে তবে এটি শরীরে ভালোভাবে অনেক সময় কাজ করে না।
ডায়াবেটিস লক্ষণ
আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস রয়েছে কিনা অথবা আমরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা জানার আগে আমাদেরকে ডায়াবেটিস রোগের বিভিন্ন লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে ডায়াবেটিস রোগের কি কি লক্ষণ রয়েছে সে লক্ষণগুলো আমাদের শরীরে দেখা দিলে আমরা খুব দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ আনতে পারব।
ডায়াবেটিস রোগীর একাধিক লক্ষণ রয়েছে সে লক্ষণগুলোর একাধিক বিষয়ে যদি আপনার শরীরে দেখা দেয় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে । ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে টেনশনের কোন কারণ নেই কারণ আপনি যদি ভালোভাবে ডায়াবেটিসের লক্ষণ জানতে পারেন তাহলে আপনি ডাক্তারেরচিকিৎসা নিয়ে ডায়াবেটিস কমাতে পারবেন এবং আপনি একটি সুস্থ মানুষ হিসেবে আবার বাঁচতে পারবেন।
ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা সেটি জানার আগে যেহেতু আমাদের ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে তাই আমরা নিচে শেয়ার করেছি ডায়াবেটিস রোগের বিভিন্ন লক্ষণগুলো সম্পর্কে লক্ষণগুলোর একাধিক লক্ষণ যদি আপনার শরীর দেখা দেয় তাহলে আপনি খুব দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেন। জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ।
- ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া।
- অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা।
- অতিরিক্ত মলত্যাগ।
- ক্লান্ত ও দুর্বল হওয়া।
- কোথাও কেটে গেলে তা শুকাতে সময় লাগা।
- অসময়ে চামড়া ফেটে যাওয়া।
- শরীরের ওজন হ্রাস পাওয়া।
- ত্বকের সংক্রমণ হওয়া।
- আঘাত থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার।
আপনার শরীর যদি এ লক্ষণগুলোর একাধিক লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার ডায়বেটিসের সম্ভবনা রয়েছে অথবা আপনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল?
আমরা অনেকে রয়েছে আমাদের ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানি না আমাদের ডায়াবেটিস আছে অথবা নাকি আমাদের ডায়াবেটিস নেই সে সম্পর্কে আমরা জানি না কারন আমরা ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো জানিনা তাই আপনি আমাদের উপরে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো দেখে নিন।
আমরা অনেকে রয়েছি আমাদের ডায়াবেটিস হলে আমরা অনেক ভয় পেয়ে যাই এমন অনেক আতঙ্কে থাকে। আসলে ডায়াবেটিস হলে ভয় কিংবা আতঙ্কের কিছু নেই ডায়াবেটিস হলে খুব সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। এখন আপনি বুঝবেন কি করে আপনার ডায়াবেটিস নরমাল কিনা? চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল।
আমেরিকান ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে সে গাইডলাইন অনুযায়ী জানা যায় যে, ৫ .৭- এর নিচে থাকলে আপনার রক্তের সুগার লেভেল স্বাভাবিক আছে। আর যদি ৬.৫- এর বেশি থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনার ডায়াবেটিস আছে যখন আপনি জানতে পারবেন আপনার ডায়াবেটিস রয়েছে তখন আপনি খুব দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসা করুন। তবে যাদের ৫.৭-৬.৫ এর মধ্যে রয়েছে তারা প্রি ডায়াবেটিস ডায়াবেটিসের পূর্ব অবস্থায় হিসেবে বিবেচনা হবে।
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
আমাদের যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা চাইলেই খুব সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। আমরা অনেকে রয়েছে যখন আমাদের ডায়াবেটিসের লক্ষণ অথবা ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তখন আমরা অনেক চিন্তায় পড়ে যাই এবং অনেকআতঙ্কে থাকি।
আসলে আপনার যখন ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দেবে এমন ডায়াবেটিস ধরা পড়বে তখন আপনি চিন্তা এবং আতঙ্কে না পড়ে সঠিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন এবং নিয়মিত খাবার খান আপনার নিয়মিত চলাফেরা এবং খাওয়া-দাওয়া পারে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- মিষ্টি এবং শর্করা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ আনতে পারবেন
- ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন হলে ডায়াবেটিস কমাতে আপনার কষ্ট হবে
- ধূমপান পরিহার করতে হবে। ধূমপান করলে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন না
- প্রতিদিন ৩০-৬০ মিনিট হাঁটতে হবে।
- শাক-সবজি প্রচুর পরিমানে খেতে হবে। শাকসবজি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে থাকে
- পূর্ণ শস্য জাতিয় খাবার খেতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাদ্য তালিকা হচ্ছে ডায়াবেটিস কমানোর অস্ত্র। একজন ডায়াবেটিস রোগীকে তার সঠিক খাদ্য তালিকা অর্থাৎ সে দৈনন্দিন জীবনে যে খাবারগুলো খাচ্ছে সেই খাবারগুলো যাতে তার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাকে পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে সে ধরনের খাবারগুলো খাওয়া উচিত।
নিয়মিত শাকসবজি জাতীয় খাবার গুলো একজন ডায়াবেটিস রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হবে। ডায়াবেটিস রোগী কখনো অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেতে পারবে না নিয়ম মতে প্রত্যেক দিন খাবার খেতে হবে খাবারে এমন কোন খাবার রাখা যাবেনা যে খাবারগুলো ডায়াবেটিস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
তাই আমরা ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তারিখের জন্য নিয়েছি তাদের সকাল-বিকাল রাতের কিছু খাবারের তালিকা দিয়ে দিয়েছি আপনারা সে খাবারের তালিকা গুলো দেখে সে অনুযায়ী আপনি খাবার গ্রহণ করতে পারেন এতে করে আপনার ডায়াবেটিস কমানোর জন্য সহজ হবে। আমরা যারা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানতে চাই তারা ডায়াবেটিস কমানোর জন্য সেই খাবারগুলো খেতে পারেন।
আমরা যদি ডায়াবেটিস কমাতে চাই তাহলে আমাদেরকে আমাদের দৈনন্দিন খাবার গুলোর মধ্যে দানাদার জাতীয় কোন খাবার রাখা যাবে না যেমন সাদা আটা, সাদা চাল চিনিসহ আরো অনেক খাবার যেগুলো দানাদার জাতীয় খাবার সেগুলো রাখা যাবে না সেগুলো পরিহার করতে হবে তাহলে আমাদের ডায়াবেটিস কমানোর সম্ভব হবে।
আরও পোস্ট
- আপনার জন্য আরও পোস্ট
- চুল পড়া বন্ধ করার সেরা কিছু উপায়
- মেথির উপকারিতা এবং অপকারিতা
- পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার
যারা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানতে চান এবং ডায়াবেটিস কমানোর জন্য সকালের যে খাবারগুলো খেতে পারেন তা নিম্নরূপ।
সকাল ৭ঃ৩০-৮ঃ ০০ টা
- রুটি ১ টি
- দুধ এক গ্লাস ফ্যাট ছাড়া
- ডিম ১ টি
- শাক-সবজি ১ কাপ
ডায়াবেটিস রোগীর দুপুরের খাবার
ডায়াবেটিস রোগীর দুপুরের খাবার গুলোর মধ্যে এমন কোন খাবার রাখা যাবেনা যে খাবারগুলো খাওয়ার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং ডায়াবেটিস লেভেল হাই করে দেয়। এককথায় ডায়াবেটিস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এমন কোন খাবার দুপুরের খাবার রাখা যাবে না। যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে তারা নিম্নোক্ত খাবারগুলো খেতে পারেন।
দুপুর ১ঃ৩০-২ঃ ০০ টা
- ভাত এক থেকে দেড় কাপ
- শাক-সবজি এক থেকে দেড় কাপ
- ডাল ১ কাপ
- মাছ -মাংস ৬০ গ্রাম ফ্যাট ছাড়া
ডায়াবেটিস রোগীর বিকেলের নাস্তা
ডায়াবেটিসের রোগীদের বিকালের নাস্তার মধ্যে এমন খাবার রাখা উচিত যে খাবারগুলো একজন ডায়াবেটিস রোগীকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীর বিকেলের নাস্তার মধ্যে। কি কি খাবারগুলো রাখা উচিত।
বিকেল ৫ঃ৩০-৬ঃ০০ টা
- যে কোন ফল ১ টি
- যেকোনো বাদাম ১/৪ কাপ
- চা ১ কাপ
ডায়াবেটিস রোগীর রাতের খাবার
সব মানুষের জন্য রাতের খাবার হচ্ছে মেয়ে রাতের খাবার মানুষের স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারে আসে যদি আপনি ভালো খাবার খান তেমনি যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে তাদের হাতের খাবার খাওয়ার ব্যাপারে অনেক সতর্ক থাকতে হবে এমন কোন খাবার খাওয়া যাবে না রাতের বেলা যে খাবারগুলো খাওয়ার পরে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পায়। সেসকল খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করব যে খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের ডায়াবেটিস কমানোর সম্ভব হবে চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীর খাবার এর তালিকা।
রাত ৯ঃ০০-৯ঃ৩০ টা
- ভাত/রুটি এক থেকে দেড় কাপ/ ১টি
- শাক-সবজি এক কাপ
- মাছ -মাংস ৬০ গ্রাম ফ্যাট ছাড়া
- যে কোন ফল ১ টি
খালি পেটে ডায়াবেটিস কত থাকে?
উত্তরঃ ৫.৭ এর নিচে।
ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে?
উত্তরঃ ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হয় না কিন্তু আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে আপনি যদি আপনার খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনতে পারেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব তবে পুরোপুরি ডায়াবেটিস নির্মূল করা সম্ভব নয়।
ডায়াবেটিস নরমাল কত পয়েন্ট?
উত্তরঃ ডায়াবেটিস নরমাল হচ্ছে ৫.৭।.
সুগারের মাত্রা কত হলে বুঝবেন ডায়াবেটিস?
উত্তরঃ আপনাদের সুগারের মাত্রা বেড়ে৬.৫ এর উপরে উঠে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে।.
ডায়াবেটিস কেন হয়?
উত্তরঃ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হচ্ছে রক্তের অধিক পরিমাণে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া।.
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে?
উত্তরঃ ১৪ই নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি?
উত্তরঃ বয়স্ক ব্যক্তিদের যখন ডায়াবেটিস হয় তখন সেই ডায়াবেটিস টাইপ ২ ডায়াবেটিস বলা হয়।.
টাইপ ১ ডায়াবেটিস কি?
উত্তরঃ যাদের বয়স কম অর্থাৎ বিশ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের যদি ডায়াবেটিস হয় তখন তাদেরকে বলা হয় টাইপ ১ ডায়াবেটিস।.
আমাদের শেষ কথা
আশা করি আপনারা ডায়াবেটিস সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে । আমরা আজকে চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার জন্য আশা করি আপনারা সে তথ্যগুলো পড়েছেন।
তার সাথে আমরা শেয়ার করেছি ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার কখন খেতে হবে কি খেতে হবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশাকরি আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে।
আপনাদের যদি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আমরা সেখানে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ।