মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং - Global Technology 4U
মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং
মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং: বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে হিউজ পরিমান টাকা ইনকাম করা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সেক্টর আছে এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টর এ সেক্টরে যদি আপনি ভালভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে ঘরে বসে।
অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যেহেতু অনলাইনে কাজ করতে গেলে ল্যাপটপ পিসি এর প্রয়োজন পড়ে তাই যে কেউ চাইলে প্রথমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারে না।
তাই আমরা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে আপনি মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করবেন।
আমরা যদি মোবাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চাই তার আগে আমাদেরকে জানতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করে এবং মার্কেটিং করে কি পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায় অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কেন, কিভাবে তিনটি প্রশ্ন আমাদেরকে আগে জানতে হবে তারপর আমরা মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? সম্পর্কে বিস্তারিত।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
অনলাইনে যত উপায় অবলম্বন করে টাকা ইনকাম করা যায় তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ একটি উপায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা।
এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকটা ব্যবসার মতো তবে ব্যবসা করার আগে আপনাকে অবশ্যই ব্যবসাতে ইনভেস্ট করতে হয় কিন্তু আপনি চাইলে ফ্রিতে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে মার্কেটিং করে ব্যবসা করতে পারবেন কোন রকম টাকা খরচ করা ছাড়া।
অনলাইনে অনেক বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে।
আপনি সেই সকল কোম্পানির পণ্য গুলো অনলাইনের মাধ্যমে মার্কেটিং করবেন যদি আপনার মার্কেটিং করা লিঙ্ক থেকে কোন কাস্টমার সে কোম্পানির কাছ থেকে কোনো পণ্য কিনে তখন আপনি একটা কমিশন পেয়ে যাবেন একে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এখন অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি পরিমান কমিশন পেতে পারি।এক্ষেত্রে আপনি একটি প্রোডাক্ট থেকে 5 পার্সেন্ট থেকে 70 পার্সেন্ট পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন।
এখন আপনাদেরকে আমরা নিচে একটি উদাহরণের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং কমিশন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব চলুন উদাহরণ জেনে নেওয়া যাক।
ধরুন আপনি Amazon.com এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন। সেখানে আপনি অ্যামাজন থেকে একটি মোবাইল বিক্রয়ের জন্য আপনি মার্কেটিং করতে চাইছেন।
ধরা যাক মোবাইলের মূল্য ৬০০০০ টাকা। অ্যামাজন আপনাকে এই মূল্যের উপর ৫% হারে কমিশন দিবে সুতরাং ৬০০০০*৫% = ৩০০০ টাকা। আপনার এই ৩০০০ টাকা হবে আপনার আয়। মূলত এটি হল এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এখন আপনি ধরেন একজন এর কাছ থেকে যদি একটি মোবাইল বিক্রি করতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিং করে তাহলে আপনি 3000 টাকা পাচ্ছেন এতে আপনার কোন টাকা খরচ করতে হচ্ছে না শুধুমাত্র ফ্রিতে আপনি মার্কেটিং করতেছেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
এখন আপনি যদি আপনার এফিলিয়েট লিংক মার্কেটিং করার মাধ্যমে দশজন কাস্টমার নিয়ে আসতে পারেন সে কাস্টমার গুলো যদি আপনার দেওয়া লিঙ্ক এ প্রবেশ করে অ্যামাজন ওয়েবসাইট থেকে মোবাইলটি কিনি তাহলে আপনি তিরিশ হাজার টাকা কমিশন পেয়ে যাবেন।
এখন আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে আমি দশজন যদি অ্যামাজন ওয়েবসাইটে পাঠায় তাহলে সবাইকে মোবাইল কিনবে এর উত্তর হচ্ছে না কারণ আপনার মার্কেটিং করা লিংক থেকে শুধু দশজন অ্যামাজন ওয়েব সাইটে যাবে না শতশত কাস্টমার অ্যামাজন ওয়েবসাইটে যাবে কিন্তু সবাই কিনবে না তাদের মধ্য থেকে10 জন কেনে তাহলে আপনি 30 হাজার টাকা পেয়ে যাবেন মার্কেটিং করে।
মোবাইল দিয়ে কি এফিলিয়েট মার্কেটিং একাউন্ট করা যায়
অবশ্যই আপনি মোবাইল দিয়ে অ্যাপলেট মার্কেটিং করার জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। আপনি অসংখ্য এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যে ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন মোবাইল দিয়ে।
মোবাইল দিয়ে মার্কেটিং
এখন আপনি মোবাইল দিয়ে ফেলে মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে এমন ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করলেন।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর টাকা আসা শুরু করেনা। আমাদেরকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য অবশ্যই তাদের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট মার্কেটিং করতে হবে।
তারপর আমাদের মার্কেটিং করা লিংক থেকে যদি কেউ তাদের প্রোডাক্ট কিনে থাকে তখন আমরা কমিশন পাব।
কিন্তু আমরা মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবো এর উত্তর হচ্ছে আমাদের সবার কাছে ফেসবুক আইডি রয়েছে আমরা চাইলে খুব সহজেই ফেইসবুকের মাধ্যমে ফ্রিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারি।
তার জন্য আপনাকে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন হতে হবে চেষ্টা করবেন এমন গ্রুপগুলোতে জয়েন হওয়ার জন্য যে গ্রুপ গুলোতে বিভিন্ন বেচাকেনা নিয়ে পোস্ট করা হয়।
আপনি যে প্রোডাক্টগুলো মার্কেটিং করতে চান সেই প্রোডাক্ট রিলেটেড বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ গুলোতে জয়েন হবেন এবং সেই গ্রুপ গুলোতে আপনার এফিলিয়েট লিংক মার্কেটিং করবেন।
কখনো ডাইরেক লিঙ্ক শেয়ার করবেন না আপনি যদি ডাইরেক্ট লিঙ্ক শেয়ার করেন তখন আপনার ইনকাম হবে না এবং আপনি ফেসবুক থেকে ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবসময় চেষ্টা করবেন এমন কিছু লিখে আপনার এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করার যাতে করে মানুষ আপনার লেখাগুলো পড়ে সাথে সাথে আপনার এফিলিয়েট লিংক এ ক্লিক করে আপনার মার্কেটিং করা প্রোডাক্টটি তারা ক্রয় করে যখন তারা আপনার লিংক থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ক্রয় করবে তখন আপনি সেই প্রোডাক্টগুলোর থেকে একটা কমিশন পাবেন।
শুধু ফেসবুকে মার্কেটিং করে থেমে থাকবেন না আপনি চেষ্টা করবেন টুইটার ইনস্টাগ্রাম পিন্টারেস্ট সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এগুলোতে আপনার এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করা এতে করে আপনি বেশি বেশি ভিজিটর পাবেন আর বেশি ভিজিটর পাওয়া মানিক দেশী প্রোডাক্ট বিক্রি হয় আর বেশি বিক্রি হওয়া মানে আপনার বেশি ইনকাম হয় এটাই স্বাভাবিক।
এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম সাইট
আপনি যদি মোবাইল নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম সাইটগুলোতে একাউন্ট তৈরি করতে হবে ।
কিন্তু কোন কোন ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় সেটা নতুন অবস্থায় খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন তাই আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা নিচে অনেকগুলো ওয়েবসাইট এর নাম শেয়ার করেছি যে ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনি খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন সেই সকল ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই ওয়েবসাইট গুলোর নাম।
- eBay
- Etsy
- Amazon Associates
- Daraz
- Alibaba
- Evaly
উপরের এই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাদের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে যদি আপনি সেল করতে পারেন তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্ট থেকে কমিশন লাভ করতে পারবেন।
- ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় ।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? |
- বিটকয়েন কি কেন ও কিবাবে
- অনলাইনে বাংলা গল্প লিখে টাকা আয় করার উপায় ২০২১
আমাদের শেষ কথা
মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় কিনা এ সম্পর্কে আমরা আপনাদেরকে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং মোবাইল দিয়ে অ্যাপলেট মার্কেটিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায় কিনা সে সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছে সেই সাথে আমরা শেয়ার করছি কোন কোন ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম জয়েন করে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা আমরা এখানে শেয়ার করেছি।
আশা করি আপনি মোবাইল দিয়ে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন আপনাদের যদি মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা নিয়ে করুন কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্টে বক্সে জানাতে পারেন আমরা সেখানে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
নোট- আমরা প্রতিনিয়ত অনেক লেখা লেখে থাকি তাই আমাদের বিভিন্ন লেখার মাঝে বিভিন্ন রকম ভুল থাকতে পারে বানানে ভুল থাকতে পারে তাই আপনাদের যদি চোখে কোন বানান অথবা যে কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে আমাদেরকে কমেন্টে জানাবেন ধন্যবাদ