সুইডিশ শিল্পী মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনকারী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত
মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনকারী সুইডিশ শিল্পী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত
মানবতার মুক্তি ও বিশ্বশান্তির দূত আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর (কাল্পনিক) ব্যাঙ্গচিত্র অঙ্কন করে মুসলমানদের হ্রদয়ে আগুন জ্বালানো সেই কুখ্যাত সুইডিশ কার্টুনিস্ট লার্স ভিকস নিজেই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। এই দুর্ঘটনায় তার দুই নিরপত্তারক্ষীও মারা গেছেন।
যুগে যুগে এমন বহু ঘটনা মহান আল্লাহর চিন্তরন বাণীর বাস্তব দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেছেন—
(১) ‘নিশ্চয়ই বিদ্রূপকারীদের বিরুদ্ধে আমিই তোমার পক্ষে যথেষ্ট।’ (সূরা হিজর : ৯৫)
(২) 'নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে লানত করেন এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অপমানজনক আযাব।' (সূরা আহযাব-৫৭)
উ*গ্রতা ও হিং*স্রতা ছড়ানো এই লোকটি যদি নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়ে সুপথপ্রাপ্ত হতেন তাহলে অনেক বেশি আনন্দ পেতাম। কিন্তু আল্লাহর ফায়সালাই চূড়ান্ত। তাকে রক্ষার জন্য সাথে থাকা লোকগুলোও তার সাথে পুড়ে ছাই হওয়ার মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো, আল্লাহ ছাড় দেন, ছেড়ে দেন না। আল্লাহর পাকড়াও থেকে কেউই রক্ষা করতে পারে না।
দুনিয়ার যে আগুনে পুড়ে লোকটির মৃত্যু হয়েছে, আখিরাতের আগুন তার চেয়ে সত্তর গুন বেশি উত্তপ্ত। তার চেয়ে ভয়াবহ কথা হলো সে আগুনে মৃত্যু হবে না। অনন্তকাল শুধু কষ্ট আর কষ্ট। মহান আল্লাহ আমাদের শিক্ষা গ্রহণের তাউফীক দান করুন, হেফাজত করুন।
আমাদের প্রিয় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনকারী সেই সুইডিশ কার্টুনিস্ট লার্স ভিকস সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। সিভিলিয়ান পুলিশের একটি গাড়িতে সফর করার সময় সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মার্কারিড শহরের কাছে একটি ট্রাকের সঙ্গে তাকে বহনকারী গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুজন পুলিশ অফিসারও নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ট্রাকচালক।
স্থানীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানান । বিবিসি বলেছে, রবিবারের ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় ও কোথায় কিবাবে তারা দুর্ঘটনায় কিছু এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে ডাগেন্স নাইহেটার খবরের পেপারে জানান এই সব তথ্য, লার্স ভিকসের পার্টনার তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন ।
পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এতে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে জড়িত নয়।
প্রসংগত, ২০০৭ সালে সে মহানবী (সা.)-এর যে ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছিল, তা এক বছর পর ডেনমার্কের একটি খবরের কাগজ প্রকাশ করে এই তথ্য জানান । মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র আঁকার পর সারা বিশ্ব থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানায় মুসলিম উম্মাহ।
তখন থেকেই পুলিশি নিরাপত্তায় চলাচল করত ৭৫ বছর বয়সী লার্স ভিকস। কারণ তাকে মেরে যে বেক্তি তার মাথাটা নিয়ে আসবে তাকে ১লক্ষ ডলার দেওয়া হবে - তাই তিনি সবসময় পুলিশের পাহারায় থাকতেন - কোথাও গেলে পুলিসের সাথে যেতেন তিনি | কিন্তু সে এটা জানেন না আল্লাহ ছাইলে কেউ তাকে আটকাতে পারবে না
এখান থেকে আমরা একটা বিষয় শিখতে পারি -- আল্লাহ চার দেন কিন্তু ছেরে দিবেন না তাকে পাকরাও করা হবে।