মেসির হোটেলে ডাকাতি - চুরি হয়ে গেল প্রচুর অর্থ এবং গয়না
প্যারিসে মেসির হোটেলে ডাকাতি
প্রতি রাতে শুধু হোটেলভাড়াই গুনতে হয় ১৭ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০ লাখ টাকা। কিন্তু এত টাকা খরচ করেও যদি একটু শান্তিতে থাকতে পারতেন লিওনেল মেসি! মেসির হোটেলে ডাকাতি
বার্সেলোনা থেকে গত আগস্টে পিএসজিতে যাওয়ার পর থেকে প্যারিসের যে হোটেলে থাকছেন মেসি, সেটিতে গত বুধবার রাতে ডাকাতি হয়েছে। তা-ও মেসিরা হোটেলের যে অংশে থাকেন, তার ঠিক ওপরের তলায়! যদিও মেসি ও তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি; তবে অন্য কয়েকটি কক্ষ থেকে লাখ লাখ টাকার অলংকার ও দামি জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
গত মঙ্গলবারই চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে পিএসজির জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটি পেয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আগের চার ম্যাচে গোল না পাওয়ার অপেক্ষা ঘুচিয়েছেন চোখধাঁধানো এক গোলে। কিন্তু মাঠের স্বস্তিটা মিলিয়ে যাচ্ছে মাঠের বাইরের এই অস্বস্তিতে।
পিএসজিতে যাওয়ার পর থেকে এখনো স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকার মতো কোনো বাড়ি খুঁজে পাননি মেসি। গুঞ্জন শোনা যায়, আপাতত ভাড়ায় থাকার মতো একটা বাড়িতে শিগগিরই ওঠার কথা তাঁর। হোটেলে ডাকাতির খবরের পর এখন হয়তো বাড়ি ভাড়ার প্রক্রিয়াটা আরও এগিয়ে আনবেন মেসি।
প্যারিসে মেসি ও তাঁর পরিবার থাকছে লো রয়াল মঁসো হোটেলে। ইংলিশ দৈনিক সান লিখেছে, পাঁচ তারকা সেই হোটেলের ছাদের দিকের একটি ব্যালকনির দরজা দিয়ে ঢুকেছে ডাকাতেরা। সবার মুখ ঢাকা ছিল মুখোশে। ভবনের ছাদ থেকে নিচে নেমেছে ডাকাতেরা, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভবনের ছয়তলার ব্যালকনির একটা খোলা দরজা দিয়ে মুখোশধারী দুজন ঢুকেছে হোটেলে। মেসি ও তাঁর পরিবার থাকে ভবনের পঞ্চম তলায়!
মেসি হোটেলে থাকতে শুরু করার পর থেকেই হোটেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল, কিন্তু দৃশ্যত তাতেও কাজ হয়নি। কারণ, ডাকাতেরা হোটেলে ঢুকে বেশ দামি জিনিসপত্রই নিয়ে গেছে। হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেওয়া এক নারী অতিথির ৩ হাজার পাউন্ডের দামি নেকলেস, ২ হাজার পাউন্ড ও ৫০০ পাউন্ড দামি কানের দুলও নিয়ে গেছে নিয়ে গেছে ডাকাতেরা!
পেশায় বিনিয়োগ পরামর্শদাতা সেই নারী ব্যাপারটাকে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলছেন। তাঁর দাবি, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরুর আগে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁর অভিযোগকে সেভাবে পাত্তা দেয়নি।
‘বিলাসবহুল ও নিরাপদ জায়গায় থাকার লক্ষ্যে বিশাল অঙ্কের অর্থ দেওয়ার পর যখন আপনার কক্ষে কাউকে ঢুকে পড়তে দেখবেন, সেটা খুবই উদ্বেগজনক। পুলিশ আমাদের বলেছে, তারা ছাদের সিসিটিভি ক্যামেরায় ব্যাগ হাতে থাকা দুজন লোককে দেখেছে। কিন্তু ওই লোকগুলো কারা, সেটা শনাক্ত করতে পারেনি,’ ইংলিশ দৈনিক দ্য সানকে বলেছেন ডাকাতির শিকার ওই নারী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক মুখপাত্র দ্য সানকে বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে নিরাপত্তাব্যবস্থায় বড় ফাঁক বের করেছে ডাকাতেরা। তদন্ত চলছে এ নিয়ে। যে প্রমাণাদি পেয়েছি আমরা, তাতে বোঝা যাচ্ছে অভিজ্ঞ একটা ডাকাত দল কাজটা করেছে।’
প্যারিসের বিখ্যাত লা’র্ক দো থিয়োঁফের কাছেই অবস্থিত হোটেলে এমন ঘটনা মেসি ও তাঁর পরিবারকে বিচলিত করতে পারে বলে লিখেছে ডেইলি মিরর। মেসির হোটেলে ডাকাতি
Lionel Messi's 17k-a-night Paris hotel hit by masked raiders as jewellery and cash stolenhttps://t.co/JsOQqnat0G pic.twitter.com/bsfeKDqNh6
— Mirror Football (@MirrorFootball) September 30, 2021