বাংলাদেশ কনস্টেবল পুলিশ নিয়োগ ২০২১ সার্কুলার - ভিডিও সহকারে
বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ সার্কুলার
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ বয়স কত
- আবেদনকারীকে অবিবাহিত হতে হবে।
- বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর।
- এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে,
- জিপিএ কমপক্ষে ২.৫।
- সাধারণ ও অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে।
- ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধা (মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সন্তান ব্যতীত) কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।
- নারী প্রার্থীর উচ্চতা সাধারণ ও অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে।
- ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন
বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে মনোনিত হওয়া থেকে শুরু করে লিখিত পরীক্ষাসহ অন্যান্য সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। আরেকটু খোলাসা করা যাক।
- শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষাঃ বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে স্থান ওসময় উল্ল্যেখ করা থাকবে। সে অনুযায়ী শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।এই পরীক্ষার মাধ্যমেই একজন প্রার্থীকে প্রবেশপত্র প্রদান এবং লিখিত পরীক্ষার স্থান ওসময় জানিয়ে দেয়া হবে।
- লিখিত পরীক্ষাঃ বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে ২য় ধাপে একজন প্রার্থীকে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে। ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের এই লিখিত পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪৫% নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীগণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন। এক্ষেত্রে উত্তীর্ণ হওয়া সকলকে চাকুরির সুযোগ দেওয়া হবে না। কেবলমাত্র উক্ত পরীক্ষায় যারা মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকবে, তাদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রার্থীকে কেবলমাত্র পরবর্তী পরীক্ষায় মনোনীত করা হবে।
- মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষাঃ পরের ধাপ হলো নির্দিষ্ট তারিখে ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা। লিখিত পরীক্ষার ন্যায় এখানেও কমপক্ষে ৪৫% নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীরা উত্তীর্ণ বলে গণ্য হবেন।
- মেডিকেল ফিটনেস যাচাইঃ বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে এটি একেবারে সর্বশেষ ধাপ। রক্ত পরীক্ষা, এইচআইভি টেস্ট, ডোভ টেস্ট বা মাদকাশক্তিসহ আরো কিছু পরীক্ষার পর শেষ হবে মেডিকেল ফিটনেস যাচাইয়ের পর্ব।
'নতুন নীতিমালায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ করা হচ্ছে। কনস্টেবল নিয়োগ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। আমরা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ এবং উন্নত অনেক দেশের নিয়োগ নীতিমালা পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ পুলিশের উপযোগী কনস্টেবল নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। এর ফলে আমরা কনস্টেবল পদে মেধা ও শারীরিক দিক থেকে অধিকতর যোগ্যতা সম্পন্ন পুলিশ সদস্য নিয়োগে সক্ষম হবো। অচিরেই পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট পদেও নতুন নীতিমালা অনুযায়ী লোক নিয়োগ করা হবে।'
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তিন দিনব্যাপী অপরাধ পর্যালোচনা সভার শেষ দিনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সমাপনী বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনায় আমরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, পুলিশের কোন সদস্য মাদকাসক্তির সাথে বা মাদক কারবারি সাথে জড়িত থাকতে পারে না। কোন পুলিশের যদি মাদকের সাথে মাদক কারবারি ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে সেক্ষেত্রে সে পুলিশকে বেরিয়ে আসতে হবে। কোন পুলিশ সদস্য যদি মাদক কারবারের সাথে সরাসরি জড়িত তাকে মাদক ব্যবসা করে সে ক্ষেত্রে পুলিশ এর কর্মকান্ড প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দৃঢ় প্রত্যয় পুনরায় ব্যক্ত করেন আইজিপি।
তিনি বলেন একজন পুলিশ সদস্য হয়ে যদি সে এমন কোন কাজ করে যে কাজের বিনিময় দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দেশের জনগণের ক্ষতি হয়।
বাংলাদেশ পুলিশকে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী উল্লেখ
করে আইজিপি বলেন, বাহিনীর শৃঙ্খলা এবং কল্যাণ এক বিষয় নয়। শৃঙ্খলাকে কল্যাণের সাথে
মিলিয়ে ফেলা যাবে না। বাহিনীর শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে কোন ধরনের আপোষ করা যাবে না।
কোন পুলিশ সদস্য শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ
করতে হবে। পাশাপাশি তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতেও আমরা যথেষ্ট সচেষ্ট রয়েছি। তিনি বলেন,
জুনিয়রদের কাজকর্ম তদারক করতে হবে। তাদেরকে পুলিশ বাহিনীর একজন যোগ্য সদস্য হিসেবে
গড়ে তোলার দায়িত্ব সিনিয়র সহকর্মীদের পালন করতে হবে।
জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা নিয়ে যাওয়ার একটি কার্যকর পদ্ধতি 'বিট পুলিশিং' উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক অনেক অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়। বিট পুলিশিংয়ের কারণে বর্তমানে মামলা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তিনি বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে চুরি, ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে তৎপর হওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
উদ্ভাবনী পুলিশিংয়ের ওপর জোর দিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী কৌশল ব্যবহার করতে হবে। পুলিশে বেস্ট প্র্যাকটিসের চর্চা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যেখানেই কাজ করি না কেন, আমাদেরকে পদচিহ্ন রেখে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যাতে মানুষ আমাদেরকে স্মরণ করে, মনে রাখে।
তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি আচরণ বদলানোর আহবান জানিয়ে বলেন, মানুষের প্রতি অমানবিক আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এজন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো। আর এটা এক্ষুনি করা যায়। এতে সময় এবং আর্থিক বিনিয়োগ কোনটারই প্রয়োজন হয় না।
মামলা তদন্ত পুলিশের প্রধান দায়িত্ব উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, মামলা তদন্তের মান আরও বাড়াতে হবে। তদন্তের প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী হতে এবং তদারকি বাড়াতে তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগ ২০২১ সার্কুলার - কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ সার্কুলার
আইজিপি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়মিত মনিটর করতে হবে, যাতে কোন সাধারণ নাগরিক সাইবার ক্রাইমের শিকার না হন। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের ও পুলিশ বাহিনীর অনুশাসন মেনে চলার নির্দেশ দেন।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রজেক্টে অনেক বিদেশী নাগরিক কাজ করছেন। তাদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
বাংলাদেশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ - বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ প্রথম আলো
পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, শুধু চাকরি করলে হবে না। চাকরিতে প্রাইড নিয়ে আসতে হবে। এজন্য মানসিকতা ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি বলেন, চাকরির প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে, তাহলেই আমরা এগিয়ে যাব।
তিনি সংগঠনকে বটবৃক্ষের সাথে তুলনা করে বলেন সংগঠন যত বড় হবে, তত এর শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। দেশ ও দেশের জনগণ উন্নত সেবা পাবে। তিনি দেশের জন্য, দেশের সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।