সর্বপ্রথম জাহান্নামে যাবে কে - সর্বপ্রথম জাহান্নামে প্রবেশকারী ৩ ব্যক্তি হল মুসলমান! তারা কারা..? আপনি নই ত..?
সর্বপ্রথম জাহান্নামে যাবে কে - সর্বপ্রথম জাহান্নামে যাবে ৩ শ্রেণীর মানুষ সে ৩ শ্রেণীর বেক্তি হল মুসলমানদের মধ্য ১) আলিম ২) দানবীর ৩) শহীদ
সর্বপ্রথম জাহান্নামে যাবে কে
হযরত মুয়াজ (রা.) রাসূল (সা.) এর কাছ থেকে কিয়ামতের দিন প্রথম তিনজন জাহান্নামে প্রবেশকারী ব্যক্তির উল্লেখ করে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই তিনজন ব্যক্তির মধ্যে একজন আলেম, একজন দানবীর ও একজন শহীদ থাকবে। যারা দুনিয়াতে তাদের কর্মের জন্য খুবই উচ্চ মর্যাদার অধিকারী থাকবে। কিন্তু তাদের কাজের নিয়তের ত্রুটির কারণে তারা জাহান্নামী হিসেবে গণ্য হবে। হাদীসটি সহীহ মুসলিম ও জামি তিরমিযিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম এই তিন ব্যক্তিকে আল্লাহর আদালতে বিচারের জন্য আনা হবে।
সর্বপ্রথম জাহান্নামে যাবে আলিম
আল্লাহ তখন প্রথমেই আলিমকে জিজ্ঞেস করবেন, ‘আমি তোমাকে আমার দ্বীনের জ্ঞান দান করেছিলাম। তুমি এর কী ব্যবহার করেছো?’
তাই আমরা যেন কখনো দুনিয়াবি সম্মানির জন্য মহান আল্লাহর দেওয়া জ্ঞান কে খরচ না করি আমরা সবসময় আল্লার জন্য আল্লার দেওয়া জ্ঞান কে মানুষের কাছে প্রচার করব। তাতে করে আমাদের দুনিয়াতেও সম্মানিত করবেন ও আখিরাতেও সম্মানি করবেন
আলিম তখন উত্তরে বলবে, ‘হে আমার রব! তোমার সন্তুষ্টির জন্য আমি তোমার দেওয়া এই জ্ঞান অন্যকে শিক্ষা দিয়েছি।’
আল্লাহ প্রত্যুত্তরে বলবেন, ‘তুমি মিথ্যা বলছো! তুমি বরং তোমার নিজের খ্যাতি ও অন্যরা যাতে তোমাকে অগ্রাধিকার দেয়, এই উদ্দেশ্যেই শিক্ষাদান করেছো। তুমি যা চেয়েছিলে, তা ত তুমি পেয়ে গেছো। সুতরাং, এখন আমার কাছ থেকে তোমার প্রাপ্য কিছুই নেই।’
তারপর জাহান্নামে যাবে দানবীর
এরপর আল্লাহ দানবীরকে জিজ্ঞেস করবেন, ‘আমি তোমাকে যে সম্পদ দিয়েছিলাম, তুমি তার কী ব্যবহার করেছো?’
তখন সে বলতে থাকবে, ‘হে আমার রব! আমি তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তোমার দেওয়া সম্পদ থেকে আমি অভাবী, দরিদ্র ব্যক্তিদের প্রয়োজন পূরণ করেছি এবং তোমার দ্বীনের প্রসারের জন্যও তোমার দেওয়া সম্পদ থেকে খরচ করেছি।’
আল্লাহ তখন বলবেন, ‘তুমি মিথ্যা বলছো! লোকে যাতে দাতা হিসেবে তোমার সুনাম থাকে এবং মৃত্যুর পরেও যাতে তারা তোমাকে স্মরণ করে, তোমার নাম মনে রাখে তুমি সেই উদ্দেশ্যে দান করেছো। তুমি যা চেয়েছিলে, তা ত তুমি দুনিয়াতে পেয়ে গেছো। সুতরাং, এখন আর তোমার এখানে কিছুই প্রাপ্য থাকতে পারেনা।’
তাই আমাদদের যদি টাকা পয়সা আল্লাহ ধান করেন তাহলে আমরা সম সময় আল্লাহর জন্য আল্লাহর পথে আল্লাহকে খুশি করার জন্য আমরা দান করব। আমরা এমন মন মানসিকতা নিয়ে কখনো দান করব না যাতে করে আমরা জাহান্নামি হইয়ে যাই।
আমরা সব সময় আল্লাহকে দেখিয়ে দান করব। আল্লাহর কাছে ওই সব দান আল্লাহ বেশি পছন্দ করে যে দান গোপনে দেওয়া হয়। গোপন কৃত দান আল্লাহ অনেক ভালবাসেন। আমরা সব সময় যদি দান করি তাহলে গোপনে দান করার চেষ্টা করব
তারপর যাবে জাহান্নামে শহীদ
এরপর আল্লাহ শহীদকে জিজ্ঞেস করবেন, ‘আমি তোমাকে একটা জিবন দিয়েছি, তা তুমি কী কাজে কিভাবে ব্যবহার করছো?’
শহীদ তখন বলবে, ‘হে প্রভু! তোমার দেওয়া জীবন আমি তোমার পথেই পরিচালনা করেছি এবং তোমার জন্যই শেষ পর্যন্ত আমি তোমার দেওয়া জীবনকে তোমার পথে বিসর্জন দিয়েছি।’
আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি মিথ্যা বলছো। তুমি এই কাজ করেছো যাতে লোকেরা তোমার বীরত্বের কথা প্রচার করে এবং তোমার স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে। তুমি যা চেয়েছিলে, তা তুমি পেয়ে গেছো। সুতরাং আজকে তুমি আমার কাছ থেকে কিছুই পেতে পারোনা।’
আমাদের জিবন আল্লাহর দেওয়া একটি বড় নেয়ামত। এই জিবনের দাম অনেক। আল্লাহর মননিত ধর্ম হল ইসলাম। আর আমাদের এই জিবনের বিনিময়ে হলেও আমরা ইসলাম কে টিকিয়ে রাখব।
এই বর্ণনার পর রাসূল (সা.) মুয়াজ (রা.) এর হাটুতে শক্ত করে হাত রেখে বলেন, ‘হে মুয়াজ! এই তিনজন কিয়ামতের দিন প্রথম জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’
আল্লাহ আমাদের প্রদর্শনেচ্ছার ঝোঁক হতে রক্ষা করুন।
তাই আমরা সব সময় কোন ভাল কাজ করলে কোন মানুষ কে দেখানোর জন্য করব না। আমরা যদি লোক দেখানুর জন্য করি মানুষ আমাকে বাহ বাহ দিবে তার জন্য করি। তাহলে ঠিকই আমরা দুরিয়াতে ক্ষেতি পাব। কিন্তু এই ক্ষেতি বেশিদিন থাকবে না। কারণ আমরা একদিন মরে যাব। কিন্তু যদি আল্লাহর জন্য করি তাহলে দুনিয়া ও আখিরাতে আমরা সফল হব ইনসআল্লাহ।